December 22, 2024, 7:21 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা অন্তরা ও তার সহযোগী তাবসসুম ইসলামকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার রাতেই কতৃপক্ষের ািনর্দেশে হল ছেড়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল হক ঐ দুইজনের হল ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঐ সন্ধ্যায়ই তাদের ছাত্রলীগ ইবি শাখার সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয় ইবি শাখা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনাবাসিক ছাত্রীকে ঐ হলে রাতভর নানাভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন ও নির্যাতন সময়ের খারাপ অবস্থার ভিডিও ধারণের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন তাদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন আদালত। সে অনুসারে তারা জনস্বার্থে রিট করেন।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশে অভিযুক্তদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তারা সন্ধ্যার পর হল ছেড়েছে।’
যেখানে ঘটনা ঘটে সেই গণরুম থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা চলে গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন কয়েকজনের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে চলে যাওয়ার কথা শুনেছি।
তিনি বলেন ঐ রুমের কেউই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নন, তারা অনাবাসিক হিসেবে হলে থাকার অনুমতি প্রাপ্ত।
তাদের অনেকেই প্রত্যক্ষদর্শী তারা চলে গেলে তদন্ত কাজ ব্যাহত হবে কিনা জানতে চাইলে প্রভোস্ট বলেন সমস্যা হবে না। কারন তাদের নাম ঠিকানা রয়েছে। তদন্ত কমিটি চাইলে অবশ্যই তাদের সাথে কথা বলতে পারবে। প্রয়োজনে তাদেরকে নিয়ে আসা হবে বলে তিনি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন হলের কোন শিক্ষার্থীই নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছেন এমন কথা বলেন নি। তাদের সর্বোচ্চ টেক কেয়ার করা হচ্ছে। তিনি বলেন ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাকে নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply